ওমরাহ একটি ছোট হজ্জ, যা বছরের যেকোনো সময় করা যায়। হজ্জের মতো এটি ফরজ নয়, তবে সুন্নত। হজ্জ নির্দিষ্ট তারিখে (জিলহজ মাসে) করতে হয়, কিন্তু ওমরাহ যেকোনো সময় করা যায়।
- info@demo.com
- House, Block, Road
Dhaka, Bangladeshy
- Let’s Talk +880 XXXX XXX XXX
ওমরাহ গাইডলাইন বাংলায়
ওমরাহ গাইডলাইন - ওমরাহ পালনে করণীয় ও বর্জনীয়
ওমরাহ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি পবিত্র ইবাদত। এটি হজের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সহজ নিয়মে পালনযোগ্য। ওমরাহ পালনের সময় ইহরাম ধারণ, তাওয়াফ, সাঈ ও মাথা কামানো/চুল ছাটার মাধ্যমে এই ইবাদত সম্পন্ন হয়। তবে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় রয়েছে যা যথাযথভাবে মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
ওমরাহ পালনে ইহরামের সময় নির্দিষ্ট কিছু কাজ নিষিদ্ধ, যেমন: সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা বা চুল ছাঁটা। তাওয়াফের সময় কাবা শরিফের দিকে মনোযোগ রাখুন এবং সাঈতে সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দোয়া করতে ভুলবেন না। Muslim Tour & Travels এর বিশেষজ্ঞ গাইডরা ওমরাহের প্রতিটি ধাপে আপনাকে সহায়তা করবে। আপনার সফল ওমরাহ যাত্রার জন্য এখনই কল করুন +88 0XXXX XXX XXX।
স্টেপ বাই স্টেপ ওমরাহ গাইডলাইন
ওমরাহ একটি পবিত্র ইবাদত যা যেকোনো সময় আদায় করা যায়। সঠিক নিয়মে ওমরাহ পালনের জন্য ধাপে ধাপে নির্দেশনা নিচে দেওয়া হলো:
০১. ইহরাম (ফরজ)
মিকাত অতিক্রম করার আগে ইহরাম বাঁধা আবশ্যক। প্রস্তুতির ধাপসমূহ:
- গোসল বা অজু করে পবিত্র হওয়া
- ইহরামের সাদা কাপড় পরিধান করা (পুরুষের জন্য)
- ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা
- তালবিয়া পাঠ করে ওমরাহর নিয়ত করা
তালবিয়া: "লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক..."
০২. কাবা শরিফের তাওয়াফ (ফরজ)
কাবাকে কেন্দ্র করে ৭ চক্কর দেওয়ার নিয়ম:
- হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করে ডান দিকে ঘোরা
- প্রতি চক্করে রুকনে ইয়ামানি স্পর্শ করা (যদি সম্ভব হয়)
- তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমে ২ রাকাত নামাজ পড়া
০৩. সাফা-মারওয়ার সায়ি (ওয়াজিব)
সাফা পাহাড় থেকে শুরু করে ৭ বার往返 (গেটি দেওয়া):
- প্রতি চক্করে দোয়া ও তাকবির পড়া
- সবুজ আলোর মধ্যে পুরুষদের দ্রুত হাঁটা (রমল)
০৪. চুল কাটা/মুণ্ডন (ওয়াজিব)
ওমরাহ শেষে:
- পুরুষের জন্য মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাটা
- মহিলাদের জন্য চুলের ডগা এক ইঞ্চি কাটা
এভাবে ওমরাহ সম্পন্ন হয়। এরপর ইহরাম খুলে সাধারণ পোশাক পরিধান করা যায়।
ওমরাহ পালনে করণীয় ও বর্জনীয়
ওমরাহ একটি পবিত্র ইবাদত যা সঠিক নিয়মে আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ওমরাহ পালনের সময় করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো:
ওমরাহ পালনে করণীয়:
- ইহরাম বাঁধার পর নিয়ত করা
- তালবিয়া পাঠ করা
- কাবা শরিফের তাওয়াফ করা
- সাফা-মারওয়া 사이 সাঈ করা
- জমজমের পানি পান করা
- মাকামে ইবরাহিমে সালাত আদায়
- হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ/ইশারা করা
- অধিক পরিমাণে দোয়া ও ইস্তিগফার
ওমরাহ পালনে বর্জনীয়:
- ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার
- চুল-দাঁড়ি কাটা বা নখ ছাঁটা
- প্রাণী শিকার বা গাছপালা কাটা
- মিথ্যা কথা বা অশ্লীল আচরণ
- ঝগড়া-বিবাদ বা অহংকার প্রদর্শন
- স্ত্রী সহবাস বা কামোত্তেজক কাজ
- মাথা ঢাকা (পুরুষের জন্য)
- সেলাইকৃত পোশাক পরা (পুরুষ)
সতর্কতা: ইহরাম অবস্থায় উপরোক্ত বর্জনীয় কাজগুলো থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা আবশ্যক। ইহরাম খোলার পর সাধারণ নিয়মে ফিরে যাওয়া যায়।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
-
ওমরাহ কি এবং হজ্জ থেকে এটি কিভাবে আলাদা?
-
ওমরাহ করার জন্য কী কী প্রস্তুতি নেয়া জরুরি?ওমরাহর জন্য ইহরাম বাঁধা, মীকাত থেকে ইহরাম করা, তাওয়াফ ও সাঈ করা আবশ্যক। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকা সনদ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আগে থেকে গুছিয়ে নিন।
-
ওমরাহ ভিসা পেতে কী কী ডকুমেন্ট লাগে?সাধারণত পাসপোর্ট (৬ মাস মেয়াদি), ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, টিকেট বুকিং, হোটেল বুকিং, টিকাকরণ সনদ ও ভিসা ফর্ম জমা দিতে হয়। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
-
ওমরাহর সময় মহিলাদের জন্য বিশেষ কোন নিয়ম আছে কি?হ্যাঁ, মহিলাদের জন্য মাহরাম (স্বামী বা নিষিদ্ধ সম্পর্কের পুরুষ সঙ্গী) থাকা জরুরি। ইহরামের সময় সাধারণ কাপড় পরতে পারেন, তবে মুখ ও হাত ছাড়া শরীর ঢাকতে হবে।
-
ওমরাহ করতে কত খরচ হয় এবং প্যাকেজ কী কী অন্তর্ভুক্ত করে?খরচ প্যাকেজ ও মৌসুমভেদে ভিন্ন হয় (সাধারণত ১-১.৫ লাখ টাকা থেকে শুরু)। প্যাকেজে সাধারণত ফ্লাইট, হোটেল, ট্রান্সপোর্ট, গাইড ও জিয়ারাত ভ্রমণ অন্তর্ভুক্ত থাকে।